নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের তারাগঞ্জে বিএনপি নেতার নিষেধ অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে সংখ্যালঘু পরিবারের এক প্রতিবন্ধী যুবক।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ খানবাড়ির ডাঙ্গা বাজারে ওই অটো চালক প্রতিবন্ধী ওই যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক।
মারধরের শিকার ওই যুবক জানান, তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদাবাদ খানপাড়ার মৃত দুলু খানের পুত্র জাহাঙ্গীর খান ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সকালে পার্শবর্তী গ্রাম কুর্শা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর কামারপাড়ার ধনঞ্জয় রায়ের প্রতিবন্ধী পুত্র অটো চালক প্রেমানন্দকে (৩৫) ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে নিষেধ করেন। এসময় প্রেমানন্দ তার ইচ্ছা মতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে জানালে জাহাঙ্গীর খানের লোকজন প্রেমানন্দের উপর ক্ষিপ্ত হয়। ভোটের পর তাকে দেখে নেওয়া হবে বলেও শাসানো হয়। তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে প্রেমানন্দ ভোট দিতে যায়। এরপর থেকেই জাহাঙ্গীর খানের লোকজন প্রেমানন্দকে আটকানোর জন্য সুযোগ খুজঁতে থাকে। বুধবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে খান বাড়ির ডাঙ্গা বাজারে অটো নিয়ে দাঁড়ালে জাহাঙ্গীর খানের নির্দেশে তার ছোট ভাই আজম খান ও তার ভাতিজা মাটিয়া মিয়াসহ বেশ কয়েকজন তাকে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধর করেন। এসময় পথচারীরা এগিয়ে গেলে তাকে গুম করে দেওয়া হবে বলে শাসিয়ে চলে যান মারধরকারীরা।
মারধরের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন প্রেমানন্দ বলেন, মুই প্রতিবন্ধী মানুষ, অন্য কোন কাম করির পাও না। তাই ব্যাংক থাকি লোন নিয়া অটো কিনছু। জাহাঙ্গীর খান বিএনপির নেতা, সয়ারের চেয়ারম্যানও আছিলো। মোক ওমরা ভোটের দিনে সকালে দেখা পায়া ভোট দিবার যাবার নিষেধ করছিল। কিন্তু মুই মোর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবার জন্য ওমার কথা অমান্য করি ভোট দিবার গেছু। সেইটাই মোর দোষ হয়া গেইছে। হামরা হিন্দু মানুষ দেখি কি হামাক মারলেও কোন বিচার হইবে না? হামরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।